আজকাল অনেক নামধারী শায়খ (!!!) ও অনেক সাধারন মানুষ (যারা দু-একটা ধর্মীয় বই পড়েছেন বা কিছুদিন কোন আলেমের সাথে চলেছেন) হুট হাট একে ওকে কাফির ফতোয়া দিতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করছেন না ! অথচ হাদীসে কত কঠিন কঠিন কথা বলা হয়েছে এই বিষয়ে . . .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘যদি কেউ তার ভাইকে কাফির ঘোষণা করে করে,তাহলে এটি তাদের দুইজনের মধ্যে কোন একজনের উপর অর্পিত হবে’।
আরেকটি বর্ণনা অনুসারে,‘যাকে কাফির বলা হচ্ছে সেটিই সঠিক নচেত তা যে বলেছে তার উপরই অর্পিত হবে’।
(বুখারী-৬১০৪; এবং মুসলিম-৬০)
রাসূল স. আরো বলেছেন,
কোন মু’মিনকে কাফের হওয়ার অপবাদ দেয়া তাকে হত্যার সমতুল্য।
(বুখারী, হাদীস নং ৬০৪৭)
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
"কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য।"
[শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯]
আল্লামা ইবনে নুজাইম রহ. আল-বাহরুর রায়েকে লিখেছেন,
“কারও মাঝে যদি কাফের হওয়ার অনেকগুলো কারণ পাওয়া যায়, আর কাফের না হওয়ার মাত্র একটি কারণ পাওয়া যায়, তবে মুফতি কাফের না হওয়ার একটি কারণকে প্রাধান্য দিবে এবং কাফের না হওয়ার ফতোয়া দিবে।”
[আল-বাহরুর রায়েক, খ.৫, পৃ.১৩৪]
কাযি শাওকানী রহ. বলেন,
“কোন মুসলমান ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফের হওয়ার ব্যাপারে ফয়সালা দিবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার কুফুরীটা দিনের সূর্য থেকেও স্পষ্ট হবে না হবে।”
[আস সাইলুল জিরার, খ.৪, পৃ.৫৭৮]
ইমাম বাকিল্লানি রহ. বলেন,
“কারও মতামত বা বক্তব্যের আলোকে কাউকে কাফের বলা যাবে না। তবে মুসলমানরা যে বিষয়ের একমত হয়েছেন এটি কুফুরী ছাড়া কিছুই নয় এবং কুফুরীর সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, কেবল তখনই কাউকে কাফের বলা যাবে।”
[ফাতাওয়াস সুবকি, খ.২, পৃ.৫৭৮]
আসুন আমরা যত্রতত্র ফতোয়া দেয়া থেকে বিরত থাকি . . . নিজের প্রতি রহম করি .

আরো জানতে ক্লিক করুন

No comments:

Post a Comment