মুস্তাফিজ থাকলে বাংলাওয়াশ হতো ইংল্যান্ড'

Continue Reading

Bangla Waz ।। বাংলা ওয়াজ। বন্ড দেওয়ানবাগীর বন্ড কেরামতির কথা শুনুন।

Continue Reading

ফেসবুক ফ্যান পেজের মাধ্যমে সাইটে ভিজিটর বাড়ানো!

প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারীকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক! ইন্টারনেট মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুকের গুরুত্বও অত্যাধিক। ফেসবুক থেকে অতি সহজেই ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক পাওয়া যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হলো ফেসবুক ফ্যান পেজ। আমি নিজেও আমার ব্লগ সাইটের জন্য ফেসবুক ফ্যান পেজের সাহায্য নিই। এখানে ফেসবুক ফ্যান পেজের মাধ্যমে কিভাবে সাইটে ট্রাফিক বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আশাকরি যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের কাজে লাগবে। আসুন দেখে নিই…
ইনফো ট্যাবটি সাজিয়ে নিন
ফেসবুক পেজ খোলার পরে অবশ্যই কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে ভুলে যাবেন না। ভিজিটররা যেটি সবথেকে বেশি লক্ষ্য করে সেটি হলো পেজটির অ্যাবাউট অথবা ইনফরমেশন। তাই এই বিষয়ে খুবই নজর দেওয়া প্রয়োজন। অবশ্যই কিওয়ার্ড সম্বলিত ভালো মানের কনটেন্ট যুক্ত করবেন এখানে। এই কিওয়ার্ডগুলো যেনো খুবই সেনসিবল ও ক্যাচি (আকর্ষনীয়) হয়।
fb_page_detailed_info
অবশ্যই আপনার ফ্যান পেজটির জন্য একটি কাস্টম ইউজার নেম নির্বাচন করবেন। এরফলে ভিজিটররা সহজেই ফেসবুক ডট কমের পর পেজটির ইউজার নেম বসিয়ে পেজে চলে আসতে পারবে। এছাড়া ইউজার নেমটি ফেসবুকে ব্র্যান্ডিং করারও একটি ভালো উপায়। আপনার যদি বিজনেস সাইট হয় তবে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন অ্যাড্রেস, সিটি, জিপকোড ও যোগাযোগের অন্যান্য বিষয়গুলো অ্যাড করবেন। কারণ এগুলো আপনার লোকাল সার্চে প্রভাব ফেলবে।
কাস্টম ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা
যখন কোনো ভিজিটর ফেসবুক পেজে আসে, তখন পেজটির ওয়ালেই আসে। কিন্তু আপনার পেজটির ওয়াল যদি একটু কাস্টোমাইজ হয়, একটু অ্যাক্ট্রাকটিভ হয় তাহলে কতোই না প্রফেশনাল লাগে!!! এই স্পেশাল ওয়েলকাম পেজে আপনি আপনার সাইটের বিভিন্ন অফার, প্রমোশন চালাতে পারবেন।
Facebook Welcome Page
আপনি যদি এই কাজটি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সাইটে ভালো ভিজিটর পাবেন ফ্যান পেজ থেকে। অবশ্যই এই সেকশনে আপনার সাইটের লিংক যুক্ত করতে ভুলবেন না। আর কাস্টোমাইজ ওয়েলকাম পেজ তৈরি করার অনেক উপায় আছে। ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে এটি সহজেই করতে পারেন। 
ভিডিও প্রমোশন চালান
একটি পেজের প্রমোশনের জন্য ভিডিও যথাযথ উপায়। তাই আপনার ফেসবুক ফ্যান পেজটির প্রমোশনের জন্য গ্রেট ও ইনোভেটিব ওয়েতে ভিডিও তৈরি করুন। আমি মনে করি এভাবে একটি পেজ থেকে সাইটে ট্রাফিক আনা যায় সহজেই!
video promotion
এজন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না। আপনার পেজের সব ফিচার নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করুন এবং এটি ইউটিউবে আপলোড করুন। ভিডিওটি অবশ্যই ছোট করার চেষ্টা করবেন। তবে অবশ্যই আপনার পেজের ফিচারগুলো যেনো বাদ না পড়ে।

আজ এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আশা করি কিছু হলেও আপনাদের হেল্প হবে।ধন্যবাদ...

Continue Reading

ডিজিটাল মার্কেটিং

যারা ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করছেন তাদের কাছে প্রধান বিষয় হলো সাইটে ভিজিটর আনা। তবে ভিজিটর আনার বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় না জানা অথবা নতুনদের ক্ষেত্রে অনেক ভুল হয়ে থাকে। যে ভুলগুলো সাইটে কাংখিত ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে ব্যার্থ হয়। মাঝে মাঝে আমরা সাইটে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তণ আনি। তবে সাইটের এসইও সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে অনাকাংখিত ভুলে ট্রাফিক হারিয়ে যায়। এ ভুলগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এখানে আমি তেমনি ১১টি গুরুতর ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি পুরাতন ভিজিটর বা কাংখিত নতুন ভিজিটর পেতে পারেন।
১. ৩০১ রিডাইরেক্টশন ছাড়াই পার্মালিংক চেঞ্জ করা :
একটা ওয়েবসাইটের এসইও এর জন্য পার্মালিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি একটি নতুন ব্লগ সাইট শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ক্লিন পার্মালিংক ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সমস্যা হলো, পুরাতন ব্লগের পার্মালিংক পাল্টালে। আপনার সাইটের যদি পোস্ট সংখ্যা খুবই কম হয় তাহলে এটি কোনো বিষয় নয়! আপনার সাইটের পার্মালিংক পাল্টালে আগের পোস্টলিংকগুলো নতুন করে ইনডেক্স হয়, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আপনার পোস্টলিংকগুলো আর কাজ করবে না। ফলে আপনি ঐ লিংক থেকে ভিজিটরগুলো হারাবেন।
301_redirect
তবে এই সমস্যার সমাধানও আছে। আমরা একটি পার্মালিংক থেকে অন্য পার্মালিংকে মাইগ্রেট করার প্লাগইন ব্যবহার করতে পারি।এক্ষেত্রে অবশ্যই ৩০১ রিডাইরেক্টশন ব্যবহার করবেন। ৩০১ রিডাইরেক্টশন চেকারের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার রিডাইরেক্ট হওয়া পার্মালিংকগুলো চেক করতে পারবেন। অবশ্যই সবথেকে ভালো পার্মালিংক ব্যবহারে সচেষ্ঠ থাকবেন এবং এটি পরবর্তীতে আর পাল্টানোর কথা চিন্তা করবেন না। আর হ্যা, পার্মালিংক পাল্টালে অবশ্যই সাইটম্যাপ রিজেনারেট করবেন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করবেন।
২. সাইটম্যাপ মিসিং :
আমরা সবাই জানি, কোনো সাইটের বিভিন্ন পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করার জন্য সাইটম্যাপের ভূমিকা অত্যাধিক। আপনি অবশ্যই আপনার সাইটের সাইটম্যাপ সম্পর্কে নিশ্চিত থাকবেন এবং সেটিতে যেনো আপনার সব পোস্টের লিংক থাকে। সাইটম্যাপ হিসেবে গুগল এক্সএমএল সাইটম্যাপ ও ওয়ার্ডপ্রেস এসইও প্লাগইন খুবই জনপ্রিয়। প্রয়োজনে আপনি ছবি ও ভিডিও ইনডেক্সের জন্য এ ধরনের প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সাইটে যদি বেশি পরিমানে ভিডিও থাকে তাহলে আপনি ইয়স্ট ভিডিও এসইও প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সাইটের ফুটারে সাইটম্যাপ লিংকও রাখতে পারেন, এটি সার্চ ইঞ্জিনকে অতি সহজেই সাইটম্যাপ বুট করার কাজে সহায়তা করেব। আপনাকে অবশ্যই সাইটম্যাপে কোনো লিংক মিসিং হচ্ছে কিনা সেটি কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করা উচিত। প্রয়োজনে সাইটম্যাপটি আনাচেক করে পুনরায় চেক করতে হবে।
redirects htaccess
৩. এইচটিএক্সেস ফাইল :
পার্মালিংক রিডাইরেক্টশন অথবা এইচটিএক্সেস অপটিমাইজেশন সমাধানের জন্য কিছু ব্লগার এইচটিএক্সেস ফাইল পরিবর্তনের কথা জানান। এটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, তাই এই ফাইলটি পরিবর্তনের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিবর্তণ করতে চাইলে অবশ্যই আগে এই ফাইলটির ব্যাকআপ নিয়ে নেবেন। এই ফাইলে কোনো ধরনের মিসিং হলে শুধু ট্রাফিক নয়, আপনার সাইটটি ডাউন হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি এইচটিএক্সেস ফাইল পরিবর্তনের জন্য মেটা রোবট প্লাগইন ব্যবহার করে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার সিপ্যানেল বা এফটিপিকে কোনো পরিবর্তণ আনডু করার ব্যবস্থা রাখবেন।
robots
৪. রোবট.টেক্সট ফাইল :
রোরট.টেক্সট কোনো সাইটের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। যখন সার্চ ইঞ্জিন বট আপনার ব্লগে আসে, তখন এই ফাইলই নির্ধারণ করে সার্চ ইঞ্জিন কোন পোস্ট বা পেজ ইনডেক্স এবং ক্রল করবে। তাই আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে রাখতে অবশ্যই রোবট.টেক্সট ফাইলকে ভালোভাবে অপটিমাইজ করবেন। কখনোই বেশিরভাগ ফাইল বা পেজকে ডিজঅ্যালাউ করে রাখবেন না।
৫. থিম কাস্টোমাইজেশন:
আপনি যখন আপনার সাইটের থিক কাস্টোমাইজেশন করবেন তখন অবশ্যই এগুলো একটি ডকুমেন্ট রেখে দেবেন। পরবর্তীকে কোনো সমস্যা হলে আপনি এই পরিবর্তনগুলো সহজেই চিহ্নিত করে আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ ফ্রি থিমগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় আপনার ব্যবহৃত প্লাগইনের সামঞ্জস্য না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু প্লাগ-ইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করেও থাকে।
৬. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন:
আপনার সাইটে অবশ্যই প্রয়োজনীয় প্লাগইন ছাড়া অহেতুক কোনো প্লাগইন ব্যবহার বা ইনস্টল করে রাখবেন না। অনেক সময় অনাকাংখিত প্লাগইন বা প্লাগইনের ব্যবহার বেশি হলে সাউটের লোডিং টাইম বেশি হয়ে যায়। যা ভিজিটর হারানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাই কোনো প্লাগইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটির রিভিউ পড়ে নিবেন এবং এটি আপনার সাইটে সাপোর্ট করবে কিনা সেটি পরীক্ষা করে নিবেন।
All-In-One-SEO-Pack-Title-Meta-Description-and-Meta-Tags
৭. এসইও টাইটেল ও ডেসক্রিপশন :
আপনি যদি অল ইন এসইও, ইয়স্ট ওয়ার্ডপ্রেস এসইও বা অন্যকোনো জনপ্রিয় এসইও প্লাগইন ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এসইও টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অন্যথায় সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে থাকা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।
৮. থিম পরিবর্তণ
অনেকেই কারণে অকারণে থিম পরিবর্তণ করেন। আপনার সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই একটি ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম থিম যেমন জেনেসিস বা থিসিস থিম ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রি থিম বা প্রিমিয়াম থিম নিয়ে বিতর্কে যেতে চাই না, তবে প্রিমিয়াম থিমে অনেক ধরনের অ্যাডভানটেজ বা বাড়তি ফিচার থাকে। ইনস্টল করার আগেই থিটিতে কোনো ক্ষতিকর ফাইল বা স্পাইওয়ার, ভাইরাস, স্প্যাম ফাইল না থাকে সেটি পরীক্ষা করে নিবেন।
৯. ব্লগ সিকিউরিটি :
যে বিষয়টি বলছিলাম, আপনি যদি ফ্রি থিম ব্যবহার করে থাকেন তবে আগেই এটিতে মেলিসিয়াস বা স্প্যাম ফাইল আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে নিবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনেই ফাইল আপনার সাইটের ভিজিটরদেরকে অন্য সাইটে রিডাইরেক্ট করে দিতে পারে। তাই আপনার সাইটের সিকিউরিটির বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ট্যাক (থিম অথেনটিসিটি চেকার) প্লাগইনটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।
১০. এসইও পরিবর্তণ
আপনি আপনার ব্লগে যে এসইও প্লাগইন ব্যবহার করেন না কেনো এটি পরিবর্তণ করতে যাবেন না। যদি আপনি আরো ভালো প্লাগইন বা প্লাগইনের পরিবর্তে ভালো পেইড থিম ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত থাকবেন যে আপনার এসইও টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন যেনো ঠিক থাকে। কারণ এটির পরিবর্তণ হলে আপনার সাইটের ট্রাফিকের ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।
site backup
১১. ব্লগ ব্যাকআপ :
বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না! তাই আপনার সাইটের কোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত সাইটের ব্যাকআপ রাখুন। ফলে প্রয়োজনে আপনি সহজেই আপনার সাইট রিস্টোর করতে পারবেন। ব্যাকআপ রাখার জন্য অনেক উপায় আছে। আমি সাজেষ্ট করবো আপনি সম্ভব হলো দিনে একবার অথবা প্রতি সপ্তাহে আপনার সাইটের ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ব্যাকআপ রাখুন। প্রিমিয়াম এর দিকে গেলে আমি অবশ্যই ভল্টপ্রেস সাজেষ্ট করবো। এটি একসাথে আপনার সাইটের সিকিউরিটি ও অটোমেটিক ব্যাকআপ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নতুন ব্লগারদের ক্ষেত্রে মুলত এ ধরনেই সমস্যাই বেশি দেখা দেয়। এছাড়া আরো অনেক বিষয় রয়েছে। এগুলো মেনে চলা উচিত। এসব সমস্যা এড়িয়ে আপনার সফলতা এগিয়ে আসুক সেটিই প্রত্যাশা করি.. খুব শীগ্রই নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আসবো... সাথেই থাকুন ...... 
Continue Reading

সমসাময়িক ফ্রাস

ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরাক, আফগানে এত মানুষ মারা গেল কিন্তু কাউকে পতাকা কেন একবার দুঃখও প্রকাশ করতে দেখলাম না। আর এখন ফ্রান্সের পতাকা নিয়ে লাফালাফি করে। বাংগালীরা এমনই তাই সামনে আরো বড় কিছু অপেক্ষা করছে। 
Continue Reading

বাতিল হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা

বাতিল হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা
*****************************
আপনার মন্তব্য লিখুন:
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও সরকারের এ সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশ করেছে।
কোটা বাতিলকরণে এরই মধ্যে সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই এটি জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে নতুন এ আইনটির খসড়া পাঠানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। অধিকাংশ সদস্যই আইনটির পক্ষে মত দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু চাকরি কেন সব ক্ষেত্রেই তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে দেয়া উচিত। বর্তমান সরকার এটি করছেও। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততি কিংবা তাদের নাতি-পুতিদের কোটা সুবিধা দেয়া ঠিক হচ্ছে না। এতে দেশের চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তা ছাড়া এ সুযোগ নিয়ে অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ জোগাড় করে চাকরিতে কোটার সুবিধা নিচ্ছেন। তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তাদের অনেকে আবার শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের কোটা নয়, জেলা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিলেরও দাবি তোলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া জেলা কোটা ১০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি কোটা রয়েছে ৫ শতাংশ। এতে মোট ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটায়। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে যে কোটা রয়েছে তাতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততিদের ব্যাপারে যে কোটা মানা হচ্ছে এবং জেলাভিত্তিক যে কোটা অনুসরণ করা হচ্ছে সেটি উঠিয়ে দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটাটি বড়জোড় সন্তান পর্যন্ত রাখা যেতে পারে কিন্তু নাতি কিংবা পুতিদের এসব সুবিধা দেয়া একেবারেই উচিত হবে না।
 
Continue Reading